চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু টানেল: ৩ মিনিটে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাড়ি

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা অংশ থেকে আনোয়ার অংশে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ মিনিট। গাড়িতে এই ৩ মিনিটে তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।

তবে এক্ষেত্রে গাড়ির গতিসীমা রাখতে হবে নির্ধারিত ৬০ কিলোমিটার বেগে।টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) গাড়ি বহর নিয়ে পরিদর্শনে যায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রশাসন।

পরিদর্শন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু কর্তৃপক্ষ, সেতু বিভাগ, প্রশাসন মিলে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। এ টানেল শুধু দুই কর্ণফুলী নদীর পারকে সংযুক্ত করেনি, ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কনসেপ্ট সেটাও বাস্তবায়িত হয়েছে। এই টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক সড়ক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, টানেলের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও। টানেলে একশটির বেশি অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা চলবে। নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এই টানেলের ব্যবস্থাপনা চলবে। স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এ এলাকায় থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশও। টানেলের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ১০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা। গাড়ির গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার বছর ৭ মাসে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হয়েছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ। নদীর তলদেশে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পাশাপাশি সংযুক্ত করা হয়েছে দুটি টিউব। টানেলের বাইরে অ্যাপ্রোচ সড়ক থাকছে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d