বিএনপি-আ.লীগকে করতে হবে উন্মুক্ত স্থানে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না : বিপ্লব কুমার
জনদুর্ভোগ কমাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাস্তায় সমাবেশ না করে অন্য স্থান দেখতে বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।জামায়াতের ডাকা সমাবেশের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।কোনোভাবেই ঢাকা শহরে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, যারা ঢাকা শহরে সভা-সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাদের রাস্তায় নয়, রাস্তা বাদ দিয়ে অন্যত্র উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। সেটা খোলা স্থান বা মাঠও হতে পারে। ঢাকা একটা মেগা সিটি। এখানে যদি লাখ লাখ লোকের সমাবেশ হয়, তাহলে দুই আড়াই কোটি নগরবাসীর সমস্যা হয়, যারা অসুস্থ তাদের হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যেতে সমস্যা হয়। ঢাকা নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য কোনো জায়গা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। অন্য কোথায় সমাবেশ তারা করবেন। সেটা তারাই নির্ধারণ করুক।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই রকম চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্যত্র সমাবেশ করার কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দলগুলো নগরবাসীর ভোগান্তি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, পল্টনেই তারা সমাবেশ করবেন। যদি তারা তাদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন তাহলে ডিএমপির অবস্থান কী হবে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় মাঠ গরম করা বা কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে অনেক ধরনের কথা বলেন। সেটা আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি না। আমরা বিবেচনা করছি আইনসঙ্গত কথা। ঢাকা মহানগরে সমাবেশ করতে হলে অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিতেই হবে। এটা আইনগতভাবেই বাধ্যতামূলক। কেউ যদি সেটা না করে তবে সেটা আইনের বরখেলাপ হবে। সুতরাং আমরা আশা করবো, আইনের প্রতি বাধ্য থেকে সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবেন, পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।
একই দিনে (২৮ অক্টোবর) শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারা অনুমতি না চেয়ে শুধু সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশের কাছে। ডিএমপি বলছে জামায়াতকে কোনোভাবেই সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।