চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশকে সহযোগিতা করায় হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম : ডাকাতি মামলার আসামি ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকায় আবুল বশর (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম ও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের (১৭ নম্বর রুট) সাধারণ সম্পাদক জানে আলমের বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত বশর বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানিয়েছেন, আবুল বশরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেঁচে থাকলেও দুটি পা চিরতরে হারাতে বসেছেন তিনি।

আহত আবুল বশর চাক্তাই নতুন ব্রিজ এলাকার মৃত আব্দুল মজির বলীর ছেলে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত আবুল বশরের বোন রোজী আক্তার বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমার ভাইকে নতুন ব্রিজ থেকে ধরে নিয়ে যায় জানে আলমের সহযোগী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরপর তাকে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস সংলগ্ন খোলা জায়গায় এসএস পাইপ, লোহার দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

‘খবর পেয়ে আমি ও আমার ভাতিজিরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে জানে আলম বাহিনীর সদস্যরা আমাদেরও মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে আমরা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়। আমরা কোনমতে ভাইকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করি৷ তার এক্সরে রিপোর্টে দুই পায়ের হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে গেছে দেখা যাচ্ছে। দুই হাতেও মারাত্মক জখম হয়েছে। ভাঙা হাত ও পা নিয়ে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি।’

আবুল বশরের চাচা আব্দুস ছোবহান বলেন, গত মাসে নতুন ব্রিজ এলাকার একটি স’মিলে ডাকাতি করে জানে আলম ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় ওই স’মিলের মালিক জানে আলমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার তৎকালীন এসআই রবিউল হোসেন আমার ভাতিজাকে জিজ্ঞেস করেন আসামিদের চেনেন কিনা। যেহেতু আমার ভাতিজা এলাকার বাসিন্দা সেহেতু পুলিশ তার সহযোগিতা নেয়। আর পুলিশকে আসামি ধরতে সহযোগিতা করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় জানে আলম৷ ফলশ্রুতিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।

আসামি ধরতে আবুল বশরের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে এসআই রবিউল হোসেনকে (বর্তমানে সদরঘাট থানায় কর্মরত) বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।অভিযোগের বিষয়ে আবুল বশরের বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ৯৯৯-এ কোনো ফোন আসেনি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করার তথ্যও সঠিক নয়৷ এমনও হতে পারে হয়তো ওনারা ৯৯৯-এ কল করার চেষ্টা করছেন, পাননি। তবে গতকাল ওই এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

অভিযুক্ত জানে আলমের বিরুদ্ধে প্রায় সময় মারধর, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ গণমাধ্যমে আসে উল্লেখ করলে ওসি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d