ইডেনের স্মৃতিতে এঁকে রাখা বাংলার ক্রিকেট
কলকাতায় আসার পর থেকে চারদিকে ঢাক-ঢোলের শব্দ। এখনও পূজোর আমেজ কাটেনি। শহরটাও কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে। ইডেন গার্ডেনসে অবশ্য এখনও রং লাগছে। বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে প্রায় দিন বিশেক হয়ে গেছে। কিন্তু এতদিনে এসে শনিবার এই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচটা খেলবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বের অন্যতম আইকনিক এই মাঠে একরকম এঁকেই রাখা বাংলার ক্রিকেট। সৌরভ গাঙ্গুলি, জগমোহন ডালমিয়ারা যেমন আছেন, আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ভারতের ইতিহাসের প্রথম গোলাপী টেস্ট হয়েছিল ইডেন গার্ডেনসে, সেটির উদ্বোধনে ছিলেন তিনি।
তখনকার বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই ছবিটা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে ইডেনে। গাঙ্গুলি অবশ্য আছেন বেশ বড় করেই। যে দুজনের ছবি বড় করে টাঙিয়ে রাখা- একজন তিনি, অন্যজন ডালমিয়া।
সৌরভ বাংলার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখ, ডালমিয়া প্রশাসক হিসেবে। ইডেনের মিডিয়া সেন্টারে বড় করে তাই টাঙানো ‘সৌরভ ও ডালমিয়ার অর্জন’। ডালমিয়ার মতো সংগঠকদের তৈরি করে যাওয়া কলকাতার ফুটবল ও ক্রিকেটের চেনা মুখ বিশ্বনাথ দত্তও আছেন একটা কর্নারে।
আছে ইডেনের ‘আইকনিক’ সব মুহূর্ত, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সব প্রেসিডেন্টদের ছবি। ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এমন ভারতীয় অধিনায়কদের ছবিও বড় করে টাঙিয়ে রাখা সিরিয়ালে। আছেন বাংলার মেয়ে ঝুলন গোস্বামী, যিনি রাজ করেছেন মেয়েদের ক্রিকেট।
ভারতের সবচেয়ে পুরোনো মাঠগুলোর একটি। সৃষ্টির ইতিহাসও তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক পুরোনো। ইংরেজদের ভারত শাসনের ১৮৩৪-৩৮ সময়ে গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড অকল্যান্ড। তার দু বোন ভারতে এসে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না।
তখন তাদের জন্য তৈরি হয় বাগান। দুই বোন পরিচিত ছিলেন ‘মিস ইডেন’, তাদের নামেই হয়ে যায় ইডেন গার্ডেনস। এর আগে থেকেই এখানে ক্রিকেট খেলতেন ‘ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের’ সদস্যরা। ১৮৩৬ সালে পরে তৈরি হয় স্টেডিয়াম। এরপর ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল, অনেক ঐতিহাসিক টেস্ট হয়েছে এখানে।