ঢাকা ও কক্সবাজারের দূরত্ব কমাবে বঙ্গবন্ধু টানেল
একসময় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে শাহ আমানত সেতু হয়ে সড়কপথে শহরে আসতে সময় লাগতো অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এখন সেই পথ ও সময় কমিয়েছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
এই টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে প্রবেশ করে পতেঙ্গা প্রান্তে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই থেকে আড়াই মিনিট। দুই পাড় সংযুক্ত করা এই টানেল চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে অন্তত ৪০ কিলোমিটার।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় কমেছে আরও আগেই। চার লেন চালু হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যোগাযোগ স্বচ্ছন্দ হয়েছে। তাতে উপকৃত হয়েছেন কক্সবাজারগামী যাত্রীরাও। তবে এখন কক্সবাজার যেতে হলে চট্টগ্রাম শহরের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আর তাতে অনেক সময় ব্যয় হয়। সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৬৪ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। তাই ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে ঢাকার যানবাহনগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট হয়ে বন্দর টোল রোডের সঙ্গে নির্মিত আউটার রিং রোড-পতেঙ্গা হয়ে কর্ণফুলী টানেল ব্যবহার করলে চট্টগ্রামের দিকে পথ কমবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। তাছাড়া কর্ণফুলী টানেল হয়ে আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ঘাট-চাতরি চৌমুহনী-বাঁশখালী-পেকুয়ার মগনামা হয়ে সরাসরি কক্সবাজার সদরে যুক্ত হলে কক্সবাজারের দিকে সড়ক কমবে আরও প্রায় ৩০ কিলোমিটার।