রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে এবং ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে আরসার সদস্য করা হয়েছিল যাদের অধিকাংশই এখন আরসা থেকে সরে এসেছে।
র্যাব-১৫ এর অভিযানে গ্রেফতার আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান ও ইউনুস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন। র্যাব হেডকোয়ার্টারের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন শুক্রবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, সাধারণ রোহিঙ্গা এবং আরসার সদস্য নির্দেশ না মানলে তাদেরকে গোপন আস্তানায় টর্চার সেলে নিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে থাকে আরসার অস্ত্রধারী ক্যাডাররা। এসবই হয়ে থাকে আরসার চিফ কমান্ডার জুনুনির নির্দেশে।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সালমান ও ইউনুসকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আরসার একটি টর্চার সেলেরও সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
গ্রেফতার ওসমান ২০২২ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর কর্মকর্তা হত্যাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত।
খন্দকার মঈন জানান, আরসা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে অপরাধ চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭৩ জন আরসার অস্ত্রধারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে