পুলিশের প্রতি নির্দেশনা: প্রয়োজন ছাড়া একা চলাফেরা নয়
রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জাড়ো হওয়া বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত ও অর্ধশত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর ৫০টি থানার সবকটিতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের নিরাপত্তা, থানার নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে থানার যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শনিবার ডিএমপির বেতার বার্তায় এসব নির্দেশনার কথা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। থানা এলাকা ও থানার পুলিশ ফাঁড়ির টিমকে একাধিক গাড়ি নিয়ে পেট্রলিং করতে বলা হয়েছে। মোবাইল টিম একাধিক থাকতে হবে। একা কোনও মোবাইল টিম মুভ করবে না। একসঙ্গে মুভ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র বলছে, সংঘর্ষ ছাড়াও রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এছাড়া সমাবেশে আসা ব্যক্তিদের সরে যেতে পুলিশ সহায়তা করছে। সংশ্লিষ্ট সব বিষয় বিবেচনা করে ডিএমপি এরই মধ্যে ৫০টি থানার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। একা মোবাইল পেট্রলিং এ না যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একটি মোটরসাইকেল বা একটি গাড়ি নিয়ে পেট্রলিং না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একাধিক গাড়ির সমন্বয়ে পেট্রলিং পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া থানার স্থাপনা এবং থানার নিরাপত্তার বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও সজাগ-সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কেউ যেন কোনও ধরনের হামলা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সব সদস্যদের সজাগ থাকতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, নয়া পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসব বিষয় যেন ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া সংঘর্ষ ঠেকাতে অনেক টিমের গুলি শেষ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ হিমশিম খেতে হয়। নিজেদের নিরাপত্তাসহ ফোর্সের নিরাপত্তা, পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিতে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।