জাতীয়

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা-বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সোনার বাংলা গড়তে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ

রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে আর এ স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতার প্রতি যে বহিষ্কারাদেশ ছিল, প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আজকে জাতির পিতাকে ডক্টর অব ল’স ডিগ্রিতে ভূষিত করেছে, আমি জানি না, আপনাদেরকে কীভাবে ধন্যবাদ জানাবো। আমি তার মেয়ে হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, এ জাতিকে নিয়ে সবসময় একটা স্বপ্ন ছিল জাতির পিতার। তিনি নিজের জন্য কিছু চাননি, এই জাতির জন্য চেয়েছেন সবসময়। অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। আমি চাই সকল শিক্ষার্থীরা যেন এই বইগুলো ভালোভাবে পড়েন। এই বইগুলো পড়লে একদিন আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং আমাদের দেশের অবস্থানও জানতে পারবেন।

১৯৫২ থেকে ৭১। বাঙালির জাতীয় জীবনের নানাবিধ অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। তাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবদান রাখবেন এমন আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলব্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে ২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গী হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক সবাই আমাদের এই যে অর্জনগুলো ধরে রাখেন। এর মাধ্যমেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা এই বাংলাদেশের জন্য যে মহান আত্মত্যাগ করে গেছেন, সেটি আমাদের ভুললে চলবে না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব ল’স’- মরণোত্তর ডিগ্রি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ে ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বহু বছর পর বাবার সম্মানসূচক ডিগ্রির পদক তুলে দেয়া হলো কন্যার হাতে। সমাবর্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্জনে আবেগাপ্লুত তিনি। এ সময় বাবার শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩, বর্তমান বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d