জাতীয়

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত: ওবায়দুল কাদের

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, টানাচতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপি বিহীন নির্বাচন করবো এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে কে আসলে আর আসলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।

সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের সঙ্গে এ যৌথসভায় অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে তারা সমাবেশে করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। বিএনপি তো নাশকতা করে কিন্তু আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে না, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে। বিএনপির মধ্যে একটা বিটট্রে মনোভাব। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ ৩০ অক্টোবর আমরা আছি। বিএনপি বলেছিল তারা এদিন নতুন সরকার গঠন করবে। আমরা শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে করে টিকে আছি। বিএনপি বেঁধে দেওয়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর গেলো আমরা কিন্তু আছি। বিএনপির মধ্যে একটা বিটট্রে মনোভাব। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচন মুখি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব ছাড়া বিএনপির সকল নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে। তাদের নেতাকর্মী সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বলছি এই দল ভুয়া। তাই তাদের নেতাকর্মী দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা বলছে তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়া কথা বলছে। বিএনপির সব কিছু ভুয়া।

বিএনপি-জামায়াতের হামলায় পুলিশ সদস্যের হত্যার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে কিভাবে হত্যা করছে। এটা দেখুন। কত ভয়ঙ্কর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে তার চেয়ে ভয়ঙ্কর।

তিনি বলেন, বিএনপি সাংবাদিকদের উপর হামলা করছে, কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের উপর বিএনপি ক্ষেপলো কেন। সাংবাদিক যা দেখে তা লেখে, তাও তাদের চোখে বাধে। যারাই নিরপেক্ষ ভাবে সংবাদ লেখে তারাই বিএনপির চোখে অপরাধী।

বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের কথা ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে কিছু ভুল আছে সেগুলো সমাধান করার মতো কিছু সময় আর সুযোগ থাকে না।

নেতাকর্মীদের ধৈর্যের সঙ্গে থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি বলেন, কেউ ধৈর্য হারাবেন না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সবাই শান্তভাবে ছিল। ২৮ তারিখে রাত দশটার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ের মতো পরিবেশই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জেগে থাকলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো বিজয় হয়ে সরকার গঠন করবে। আওয়ামী লীগ বিজয় হবো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, যেকোনো মূল্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐকবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারে না। যারাই দলের মনোনয়ন চাইবে তাদের সকলের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। তিনি মনোনয়ন দেবেন।

এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আপনারা সক্রিয় ভাবে মাঠে থাকার জন্য ধন্যবাদ। বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলমান থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান, ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আগা খান মিন্টু, ঢাকা-১৫ আসনের কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৮ আসনের আহসান হাবিব।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাউল হক সাচ্চুসহ সহযোগিতা সংগঠন ও ঢাকা সিটি করপোরেশন মেয়রগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d