চট্টগ্রাম

হরতাল-অবরোধে ট্রেনের নিরাপত্তায় জোর

হরতাল-অবরোধে রেলওয়ের লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টার এবং সাব লোকো মাস্টারদের হেলমেট পরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ট্রেনের বিভিন্ন স্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। টহলে রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, ফেনী, আখাউড়া, কুমিল্লা, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য (আরএনবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রেনচালক ও সহকারী চালকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে হেলমেট।

রেলওয়ের তথ্যমতে, সারাদেশে বর্তমানে ২৬৩টি ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেন পরিচালনায় লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) নিয়োজিত রয়েছেন ৮৫০ জন।

রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আমরা বলেছি। এ ছাড়া হেলমেট পরার নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। তবে আমরা কিছু বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ট্রেনের গতি কোথাও কোথাও ৬০, ৭০ বা ৮০ কিলোমিটার রাখা হচ্ছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রেলের যান্ত্রিক বিভাগ থেকে লোকো মাস্টারদের হেলমেট বিতরণ করা হয়েছে। তা পরতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) সদস্যরা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তার বিষয়ে বলা হয়েছে।

২০১৩ ও ১৪ সালের দিকে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের সময় রেললাইন ছিল অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। ওই সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।

অতীতের এই অভিজ্ঞতার আলোকে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত লোকো মাস্টারদের নিরাপত্তায় হেলমেট পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d