শনাক্ত হলো বঙ্গবন্ধু টানেলে রেস দেওয়া ৪ কার, পার পাচ্ছে না কেউই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে স্পোর্টস কারের রেসে দিয়ে ভাইরাল হওয়া চারটি গাড়ি শনাক্ত করেছে পুলিশ।
টানেলের ভেতরে-বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় এসব গাড়ি শনাক্ত করা হয়। বাকি গাড়িগুলোকে দ্রুত শনাক্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় শিগগিরই মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রেসের ঘটনার পর মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দ্রুতগামী একটি বাস ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেট কারকে।
উদ্বোধনের পর মাত্র তিন দিনের মধ্যে এসব ঘটনায় টানেলের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টানেলে চলাচলে শৃঙ্খলা না থাকলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টা থেকে এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেদিন মধ্যরাতেই দামি স্পোর্টস কার নিয়ে টানেলের ভেতর রেসে মেতে ওঠেন একদল উঠতি বয়সী ছেলে। টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে গাড়িগুলোকে রেস করতে দেখা গেছে। পরে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, টানেলের ভেতরে অন্তত ১০টি গাড়ি রেসে অংশ নেয়। এসময় একটি গাড়ি আরেকটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বেপরোয়া গতিতে চলছিল এসব কার।
টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা জানান, টানেলের ভেতর সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারে। কিন্তু রেসে অংশ নেওয়া গাড়িগুলো তার চেয়ে বেশি গতিতে চলেছে। শুধু তাই নয়, গাড়িগুলো যেভাবে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল, তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমরা বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টানেলের একপ্রান্ত পড়েছে কর্ণফুলী থানায় অপরপ্রান্ত পড়েছে পতেঙ্গা থানায়। আবার দুটি থানাই নগর পুলিশের বন্দর জোনের অধীনে।
এই জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘রেসের ঘটনায় টানেল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা শিগগিরই এজাহার দেবেন। এরপর সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা হবে। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চারটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলোও শনাক্ত করা হচ্ছে