ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের উপ-নির্বাচন রোববার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ রোববার। এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগ ছাড়া উপ-নির্বাচনে প্রার্থী আছেন আরও চারজন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক।
একাদশ সংসদের মেয়াদকালে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে। ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এর পর সংসদ থেকে তাঁর পদত্যাগে শূন্য হয় আসনটি। শূন্য আসনে গত ১ ফেব্রুয়ারি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আবারও বিজয়ী হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আবার উপ-নির্বাচন হচ্ছে এই আসনে।
২২ বছর পর, এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি ছাড়াও উপ-নির্বাচনের প্রার্থী আছেন আরও চার জন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা এবং সাধারণ জনগণ আগামীকাল যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেটিকে একটি উৎসবের মতো করে দেখছে। আমরা আশা করছি, বিপুল ভোটার এসে নির্বাচনে তাঁদের মূল্যবান ভোট দেবেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা বলছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে নেতা-কর্মীদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।আগ্রহ না থাকলেও ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় এই দুই প্রার্থী।নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন প্রশাসন।
এলাকাবাসী বলছেন, সুন্দর পরিবেশে, নির্বিঘ্নে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হোক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয় ম্যাজিস্ট্রেটরা এর মধ্যেই সে লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। এ ছাড়াও নির্বাচনের দিন ১৭টি ইউনিয়নের ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।’
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে এই নির্বাচনী আসন। দুই উপজেলার মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৩ জন।