একসঙ্গে এত উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন যে কারণে!
একসঙ্গে এত উন্নয়নকাজ উদ্বোধনের কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসতে নাও পারে, নতুন সরকার যেন বলতে না পারে যে বর্তমান সরকার কোনও উন্নয়ন কাজ করেনি।দেশব্যাপী ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ৫ হাজার ৩৬০টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অবকাঠামোগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি ৩ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী তার অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আজ আমরা সমবেত হয়েছি— আমরা যে উন্নয়ন কাজগুলো করলাম, সেগুলো উদ্বোধন করতে। এর পেছনের কারণ একটু বলি, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছিলাম। খুলনার রূপসা ব্রিজ থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ, ঝালকাঠির গাবখান ব্রিজ; এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজসহ এরকম অনেকগুলো কাজ আমরা করেছিলাম। কিন্তু যেগুলো করেছি, সেগুলো উদ্বোধন করতে পারিনি। পরবর্তী যারা (ক্ষমতায়) এসেছে, সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যে গাবখান ব্রিজ উদ্বোধনের সময় শুনলাম, খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) বক্তৃতা দিচ্ছেন— আগের সরকার কোনও কাজই করেনি, উন্নয়ন করেনি।’
বিএনপি সেসময় ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক মাসের গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মানে হলো এক মাসের মধ্যে তিনি (খালেদা জিয়া) একটা ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছেন। গাবখান ব্রিজ অনেক বড় ব্রিজ, বিশাল এক নদীর উপরে। তো আমাদের শুনতে হলো— আমরা কিছুই করিনি। তো এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি, সেটুকু উদ্বোধন করবো, সেটা হলো বাস্তবতা। সেজন্যই আজ এই আয়োজন। যে যেগুলো বাকি আছে, সেগুলো অন্তত করে দিয়ে যাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে ইলেকশন হবে, তারপর যদি জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেয় আবার আসবো, আর না দিলে আমার কোনও আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি। এটুকু তো নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
‘জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে’, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। অনেকেই ভোটে আসতে চায় না। কারণ যারা এর আগে ৩০টা আসন যারা পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থতি সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলানোই তাদের চেষ্টা।’