প্রেমিকের সাথে পালিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এক তরুণীকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ওই তরুণী বর্তমানে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে চিরিরবন্দর থানায় মামলা করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী (১৮) জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক যুবকের (২৪) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই যুবক পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাদের বাসায় এসে মা-বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে যান। কিন্তু পঞ্চগড়ে যাওয়ার কোনো ট্রেন না পেয়ে উপজেলার ঘুঘরাতলী এলাকায় বটগাছের নিচে বসে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এসময় স্টেশন থেকে দুটি ছেলে তাদের পিছু নেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ হয় মাস্ক পরা আরও তিনজন।
তাদের মধ্যে মবিন নামের একজন বলেন, তোমাদের পালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা তোমাদের বিয়ে দেবো। এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা ওই তরুণী ও তার প্রেমিককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে জোর করে একটা ভ্যানে তুলে মোবাইল কেড়ে নেন। এরপর একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান তারা। সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবকটিকে অন্যত্র আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে সেখানে ফেলে রেখে মোবাইল দিয়ে চলে যান তারা। পরে ওই যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।