ককটেল বিস্ফোরণ মামলার প্রতিবেদন ৫ডিসেম্বর
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আশ্রাব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মামলাটির এজাহার আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জনিকে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২০ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় অজ্ঞাতপরিচয় নাশকতাকারীরা। উপস্থিত আইনজীবীদের ও আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন অথবা গুরুতর ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা। এতে আদালতে আসা বিচার প্রার্থীসহ বিভিন্ন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং আদালতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়াসহ আদালতের বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। সেটি দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা গেছে বলে দাবি করছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। এখন সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত এক নারী ও সঙ্গে থাকা এক পুরুষ মহানগর দায়রা জজ আদালতের চারতলা থেকে ককটেল সদৃশ বস্তু নিচে ফেলেন। এসময় তাদের সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। এরপর তারা দ্রুত আদালত চত্বর থেকে চলে যান।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন জানান, বোরকা পরিহিত নারী তার ব্যাগ থেকে ককটেল বের করে দেন। সঙ্গে থাকা পুরুষ ককটেলটি ওপর থেকে নিচে ফেলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, আদালতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যারা এ কাজ ঘটিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।