৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা আজ
ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জাতীয় পার্টি। ইতোমধ্যে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষ হয়েছে।যদিও শুক্রবার থেকে টানা বৈঠকে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি দলটি।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।তালিকা প্রকাশের পরই পরিষ্কার হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কাদের কপালে জুটল দলীয় প্রতীক লাঙ্গল।এদিকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষকের মধ্যে এক প্রকার ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দলের প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদ কোনো আসন থেকেই মনোনয়ন নেননি। বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদের মধ্যে এক প্রকার পরস্পর বিরোধী অবস্থান বিভিন্ন সময় দেখা যায়। যা রাজনীতির পাড়ায় দেবর-ভাবি দ্বন্দ্ব নামে খ্যাতি পেয়েছে।
এবার দেবর- ভাবির এই বিরোধের আগুনের মধ্যে নতুন করে ঘি ঢালা হিসেবে কাজ করবে যখন ভাতিজার আসনে চোখ পড়বে চাচার।জাতীয় পার্টির সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১৭ এবং রংপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।রংপুর-৩ আসনে বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য হিসাবে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও রওশন এরশাদ পুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ।
আগামী নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে জিএম কাদের নির্বাচন করলে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে পার্টির চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ইতোমধ্যে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই আসনে জিএম কাদের নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে মনোনয়ন সংগ্রহের কারণে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশাদ এখন পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি বলে এমন আলোচনা জাতীয় পার্টির মধ্যে চলছে।
জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনো বিভেদ নেই জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জিএম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই।