চট্টগ্রামরাজনীতি

স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশিরভাগ বাদ পড়ার কারণে!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের মোট ১৪৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রামের দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম–১, চট্টগ্রাম–২, চট্টগ্রাম–৩, চট্টগ্রাম–৪, চট্টগ্রাম–৫, চট্টগ্রাম–৬, চট্টগ্রাম–৮ এবং চট্টগ্রাম–১৩ আসনের ৭৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

বাছাইকালে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ১২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে এক শতাংশ সমর্থন ভোটারের ১০ জনের তথ্য মাঠ পর্যায়ে যাচাইকালে তথ্যের গরমিল পাওয়ায়। শুধুমাত্র ১ জন ভোটারের তথ্যে গরমিল থাকায় অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের মনোনয়ন বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরশেদুল আলম বাচ্চু ও বিজয় কিষাণ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয় শুধুমাত্র এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে একজন বা দুজনের তথ্যের গরমিল পাওয়ায়। আবদুচ ছালামের ১০ জন ভোটারের মধ্যে ১ জনের তথ্যে গরমিল পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একই আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল ও মনজুর হোসেন বাদলের মনোনয়নও বাতিল করা হয়।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম–৬ আসনের (রাউজান) স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজমের মনোনয়ন বাতিল হয় ভোটার সমর্থকের তথ্য সঠিকভাবে না দেওয়ার অভিযোগে।

গতকাল সকালে প্রথম দফা মনোনয়ন যাচাই বাছাই কার্যক্রমে বাতিল হয় চট্টগ্রাম–১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন। এছাড়া চট্টগ্রাম–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। একই অভিযোগে চট্টগ্রাম–৩ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী নিজাম উদ্দিন নাছির ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়।

একই সময়ে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড আসনের ৪ প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ ইমরান, বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও বিএনএফের আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র ১ জন ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ার অভিযোগে।

চট্টগ্রাম–৫ আসনের দুই প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এবং মো. নাছির হায়দার করিমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও এক শতাংশ ভোটার–সমর্থকদের ভুল তথ্য দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে মূলত এক শতাংশ ভোটারের তথ্য সঠিকভাবে না দেওয়ার কারণে। বাতিল হলেও প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। নির্ধারিত আপিল কর্তৃপক্ষ বৈধ ঘোষণা কররে সেক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d