সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে প্রার্থী দেয়নি পাহাড়ি সংগঠনগুলো
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে কোনো প্রার্থী দেয়নি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। গত কয়েকটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে বড় দুই দলের সঙ্গে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা। তবে এবার নির্বাচনে না আসার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করছে তারা।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই খাগড়াছড়ি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ। নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ইউপিডিএফসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন নির্বাচন অংশ নেয়।
নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড় দলের প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন পাহাড়ি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংগঠনগুলোর অবস্থান ভিন্ন। ভোটের পরিবেশ না থাকাসহ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করে নির্বাচনে না থাকার সিদ্ধান্ত তাদের। ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, সরকার একতরফা নির্বাচন করছে তাই ইউপিডিএফ এই নির্বাচনে যাচ্ছে না।
জেএসএস-এমএন লারমা কেন্দ্রীয় সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যাই হোক। তবে এবার দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা এখনও সিন্ধান্ত নেইনি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আঞ্চলিক সংগঠনগুলো না থাকায় নির্বাচনে ভোটের উপস্থিতি কম হতে পারে বলে শঙ্কা সুশীল সমাজের। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সরকারের উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবে পাহাড়িরা।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক সংগঠন একটা বড় ফ্যাক্টর। এবার তারা নির্বাচনে আসছে না। এতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে। যাতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে খাগড়াছড়িতে কৃষি, যোগাযোগ, পর্যটনসহ প্রতিটি সেক্টরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ি সংগঠনগুলো যদি পাহাড়ি ভোটারদের জিম্মি না করে তাহলে তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে। খাগড়াছড়িতে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। যার অর্ধেকই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর।