সম্পদ বেড়েছে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসনে টানা সপ্তম বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তিনি বর্তমান সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
বান্দরবান রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় মিলেছে সম্পদের এসব তথ্য। হলফনামার তথ্যমতে, বিগত ১০ বছরে পাহাড়ের বীর খ্যাত বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাৎসরিক আয় বেড়েছে পাচঁগুণ এবং স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। এছাড়াও তার স্ত্রীর বাৎসরিক আয় এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।
হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বীর বাহাদুর উশৈসিং হলফনামায় ব্যবসার (রাবার) খাতে বাৎসরিক আয় ছিল ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যেটি দাঁড়ায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় এ আয় বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা। আয়ের সবচেয়ে বড়খাত হোটেল ব্যবসা। সেখান থেকে তিনি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩১ টাকা আয় দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় আয়ের খাত অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান (অনান্য) ভাড়া দেখিয়েছেন। এই ব্যবসা থেকে আয় এসেছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১২ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন এফডিআর, সঞ্চয়ের জামানত ও অংশীদারি বিনিয়োগ থেকে আয় দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালে কৃষিখাত, অনান্য ভাড়া, ব্যবসা, সঞ্চয় ও চাকরিসহ বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আর ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ শিল্প ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৮ টাকা সিসি লোন নেওয়ার তথ্য দেখা যায় ২০১৮ সালের হলফনামায়। তবে ২০২৩ সালে এসে কমেছে দায়ের বোঝা। এবার ইসলামী ব্যাংকের বান্দরবান শাখা অনুকূলে ৩০ লাখ ৮১হাজার ৯৭০ টাকার সিসি লোন দেখানো হয়েছে।
এছাড়াও বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় বাহাদুর উশৈসিংয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট দুটি বাসভবন রয়েছে। ২০২৩ সালের হলফনামায় যার দাম দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ ও ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২টি বাস, ২টি জীপ ও ১টি কার’সহ অর্থ উল্লেখ করেছেন ৩ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও বাহাদুর উশৈসিংয়ের জায়গা ও রিসোর্টে ভবন বেড়েছে।