জাতীয়

ভোটের দিন সচল রাখতে হবে ইন্টারনেট

ভোটের ফলাফল দ্রুত পাঠানোর জন্য টেলিফোন, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট সংযোগ সচল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরিপত্রে ভোটকেন্দ্রে ধূমপান হয়ে বিরত থাকা ও দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক হিটার বা যেকোনো ধরনের চুলা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাহসী ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের ভোট গ্রহণে নিযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। সেখানে বলা হয়েছে, পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসারকে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটগণনা বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট সরবরাহ করবে। পরিপত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিজ নিজ সংস্থার যানবাহন ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।

বিশেষ এ পরিপত্রে বলা হয়, কোনো ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তার পক্ষে ক্যাম্প স্থাপন না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৯(৪) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত রিটার্নিং অফিসারের এখতিয়ার ক্ষুণ্ন হবে না, ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রকারের দাঙ্গা, সন্ত্রাস বা অনিয়ম সংঘটিত হলে কিংবা আইন ও বিধির কোন ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগভাবে ভোটগ্রহণ করতে হবে। উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি এরূপ যে কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ইতোমধ্যে জারীকৃত পরিপত্র, আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানে বর্ণিত নির্দেশনা/পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

যদিও ইসির আইন অনুযায়ী ভোটের কার্যক্রম বন্ধ করার বিধান রয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (এ) ধারায় বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতিপ্রদর্শন, চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না, তাহলে যে কোনো ভোটকেন্দ্র বা ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।’

এর আগে গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। কোথাও অনিয়ম হলে সে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d