জাতীয়

৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী

আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এক্ষেত্রে তাদের অগ্রবর্তী টিমও মাঠে নামবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য। ২৯ ডিসেম্বর একটি সমন্বয় সেল গঠন করে তারা মাঠে নামছেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এইচ এম মাসীহুর রহমান এমন সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন।

গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সই করা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর দায়িত্ব পালনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

যেভাবে পরিচালিত হবে সশস্ত্র বাহিনী:

(ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।

(খ) রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

(গ) সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।

(ঘ) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান (মোতায়েন ছক) চূড়ান্ত করা হবে।

(ঙ) বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদা মতো আইনি অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা শিগগিরই অবহিত করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্তে অগ্রগামী/রেকীদল পাঠানো যাবে। রেকীদলগুলো সীমিত থাকবে।

২৯ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে একটি সমন্বয় সেল পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও বাহিনীগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় সেল স্থাপন ও পরিচালনা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d