চট্টগ্রামরাজনীতি

ভোট দিয়ে কী হবে, নতুন কালুরঘাট সেতু তো দেখব না

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। বোয়ালখালীতে নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ নিয়ে ভোটারদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। আগের প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা নতুন সেতু নির্মাণের ওয়াদা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন বাস্তবায়নে।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বোয়ালখালী) আসনের চায়ের দোকান কিংবা অলি-গলির আড্ডা— সবখানেই আলোচনার বিষয়বস্তু এখন ভোট। আলোচনায় উঠে আসছে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় প্রচারে প্রভাব পড়ার কথাও। তবে আসনটির বোয়ালখালী অংশের ভোটাররা নতুন কালুরঘাট সেতু নিয়ে আছেন শঙ্কায়। ওই আসনে সমঝোতার কারণে নৌকার প্রার্থী নেই। স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থীরা বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবিটি আদৌ পূরণ করতে পারবেন কিনা —এমন সংশয় ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মনে।

প্রাণের দাবি, ‘নতুন কালুরঘাট সেতু’

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন এ প্রতিবেদক। এ সময় বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয় সিভয়েসের। বোয়ালখালীর ৭০ বছর বয়সী এমদাদ হোসেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, ‘ভোট দি কি ওইবু, মরণের আগে কালুরঘাট সেতু তো ন দেক্কুম (ভোট দিয়ে কী হবে, মৃত্যুর আগে কালুরঘাট সেতু তো দেখব না)’।

জাকের হোসেন নামে এক ভোটার বলেন, ‘এমপি তো বহুত পাল্টাইয়ি, হই আঁরার দুঃখ তো রইগেয়ি। বাদল ভাই, মোছলেম ভাই এমপি হইয়্যি, ইতারাও চেষ্টা গইরজি, কিন্তু নোয়াগরি কালুরঘাট সেতু ন অই (এমপি তো অনেক পরিবর্তন হলো, কিন্তু আমাদের দুঃখ রয়ে গেছে। বাদল ভাই, মোছলেম ভাই এমপি হলেন, তারা চেষ্টা করেছেন; কিন্তু নতুন কালুরঘাট সেতু এখনো হয়নি।)

বোয়ালখালীর সর্বস্তরের ভোটারদের অভিযোগ, কালুরঘাটে নতুন সেতু হচ্ছে না। এখন পুরোনো সেতুর সংস্কারকাজ চলছে। এতে শুধু ট্রেন চলে, গাড়ি চলে না। যাতায়াতের জন্য ফেরি দিয়েছে। অথচ সেই ফেরি অনেক সময় চলে না। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এছাড়া দিনে কোনো রকমে পারাপার হতে পারলেও রাতে যারা চাকরি বা ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাসায় ফিরেন, তারাই বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d