চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ই-অকশনে ১০৮ লট পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ফেব্রিক্স এয়ারকন্ডিশনারসহ বিভিন্ন ধরনের ১০৮ লট পণ্য ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) তোলা হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, বাংলাদেশ কাস্টমস ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রযোজ্য শর্তপূরণের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্যের প্রস্তাবিত মূল্য দাখিল করতে পারছেন বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারীরা)। মূল্য দাখিল করা যাবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১০৮ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলাস্টিক ব্যান্ড, কটন ড্রকর্ড, জুতা, তৈরি পোশাক, বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্স, পেপার হ্যাংট্যাগ, ওপিপি গাম টেপ, প্লাস্টিকের খেলনা, মেটাল ফ্রেম, পিভিসি রিবন, ক্যাটালগ, পিভিসি রেসিন, সুইং মেশিনের মেটাল স্ট্যান্ড, পলিপ্রোপিলাইন, লেডিস জুতা, প্লাস্টিক শিট, সিরামিকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, ফিলার মাস্টার ব্যাচ, গার্মেন্টস প্লাস্টিক বাটন, এমিজউজমেন্ট পার্কের ইক্যুইপমেন্ট, গ্যাস স্টোভ পার্টস, পেইন্টিং ফর অফিস ডিসপ্লে, হাইড্রোগার্ড টেপ, ব্লিচিং আর্থ, ফ্লাগ লেভেল, স্প্লিট উড, সিরামিকস টাইলস, সিঙ্গেল ফেজ ইলেক্ট্রনিক মিটার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, উডেন পেলেটস, প্লাস্টিক হ্যাংগার, বই, ডামি, ডুপ্লেক্স পেপার, এয়ার কন্ডিশনার, মেডিকেল রেগুলেটার, পালস অক্সিমিটার, ফায়ার এক্সটিংগুইসার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কাঠের আলমিরা ও ওয়্যারড্রবস, চেয়ার, বেড ফ্রেম, পিগমেন্ট ইমালসন, রাউন্ড লগ, ব্যাবহৃত এইচওয়াইডি এক্সক্যাভেটর, টপ হ্যাংগার, গ্লাস বিডস, আউটার স্লিপ অব স্লিপার, রাইচ মিলের যন্ত্রাংশ, অ্যাডহেসিভ বেইজড অন পলিমার, নন প্রিন্টেড প্লাস্টিক শিট, ইঞ্জিন অয়েল, হাইড্রোকলিক অয়েল, ফোল্ডিং মেশিন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ই–অকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়।

এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরণের ২৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। এতে মাত্র ১২ জন বিডার (নিলামে অংশগ্রহণকারী) ২০টি লটে অনলাইনে দরপত্র জমা দেয়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, কাস্টমসে নিলাম একটি চলমান কার্যক্রম। ম্যানুয়াল পদ্ধতি ছাড়া এখন অনলাইন নিলামেও জোর দেয়া হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১০৮ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d