কক্সবাজারে এমপি কমলের হ্যাটট্রিক জয়
কক্সবাজার-৩ আসন থেকে পর পর তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক জয় করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে যত ভোট পড়েছে তার ৮০ শতাংশই পেয়েছেন কমল। তবে এখন পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক ডাকসু নেতা, কক্সবাজারের শ্রেষ্ট সমাজসেবক, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রদুত ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী’র ছেলে এমপি কমল কক্সবাজার-৩ আসনে প্রথম বার আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৪ সালের নির্বাচনে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২য়বার এবং ২০১৪ সালের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ৩য়বারের মতো আবারো এমপি হয়ে হ্যাটট্রিক করেন।
ধারাবাহিক এই বিজয় সম্পর্কে এমপি কমল বলেন, আমি মানুষকে ভালোবাসি। তাই মানুষও আমাকে ভালোবেসে তিনবার ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছে। গত ১০ বছরে কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলায় সংগঠনের তৃণমূলকে ঢেলে সাজিয়েছি। এলাকার উন্নয়ন করেছি। জনগণ তাই এবারও আমাকে নিরঙ্কুশভাবে ভোট দিয়েছে।
এদিকে, কমলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ চরম ভরাডুবি হতে চলেছে এই আসনে। এখন পর্যন্ত একটি কেন্দ্রেও তিনি পাস করতে পারেননি। তবে তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ ও এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে এনে ভোট বর্জন করেছেন। মিজান সাঈদ পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন।
বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে এসে ভোট স্থগিত চেয়ে আবেদন দেয়ার পর চলমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। হাইকোর্টের আওয়ামী আইনজীবী ফোরামের এ নেতা পূণ:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ব্যারিস্টার মিজান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার-৩ আসনে ১৬৭টি কেন্দ্রের মাঝে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে ১৩০টি কেন্দ্র দখল করে ব্যালেটে জোরপূর্বক সিল মারা হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা রিটানিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়। আবেদনে ভোট স্থগিত করে পূণঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ভোটার রয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। ১৬৭টি ভোটকেন্দ্রের মাঝে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ৩৬টি।