চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
নগরীতে কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ ও কষ্ট বেড়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে গতকাল শুক্রবার। আজ শনিবার তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। এ ছাড়া এ মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল নগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এছাড়া গতকাল নগরে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুল বারেক বলেন, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যত কমবে শীতের অনুভূতিও তত বাড়বে। আজ (গতকাল) চট্টগ্রামের আবহাওয়া সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ডিফারেন্স কিন্তু বেশি ছিল না। তাই এখানে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। আগামীকাল (আজ শনিবার) তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে। এরপর রোববার থেকে বাড়তে পারে। শীত বেশি অনুভূত হলেও কুয়াশা বেশি পড়ছে না। এর কারণ হচ্ছে বাতাস। অর্থাৎ বাতাস বয়ে গেলে তখন কুয়াশা বেশি জমতে পারে না।
এদিকে সাধারণ লোকজন বলছেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়: গতকাল দেশের সর্বনিমা্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জ, পাবনা ও দিনাজপুরে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তা আজ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এছাড়া গতকাল দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় গতকাল দিনভর সূর্যের দেখা মিলেনি বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।