পরাজিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট শাহেদুজ্জামান পলাশকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত শাহেদুজ্জামান পলাশ সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। শাহেদুজ্জামান পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহেদুজ্জামান বিদেশে থাকতেন। দেশে আসার পর এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। স্ত্রী নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দিনের বেলায় নিজের বাড়িতে আসতেন এবং খামার দেখাশোনা করতেন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহেদুজ্জামানের সঙ্গে তার স্ত্রীর মুঠোফোনে ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল। নিজের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি আসার পথে গতকাল রাত ১০টার দিকে পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের খালি জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় শাহেদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, আমি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।