অন্যান্য

চমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রাম মেশিন সচল

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের এনজিওগ্রাম মেশিন সচল হওয়ায় রোগীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। গত ৪ জানুয়ারি এক রোগীর হার্টের রিং পরানোর সময় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এনজিওগ্রাম মেশিন। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। তবে হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের এনজিওগ্রাম মেশিনটির ওয়ারেন্টি পিরিয়ড থাকার কারণে কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা এসে অস্থায়ী পিকচার টিউব স্থাপন করে দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে এনজিওগ্রাম, হার্টে রিং পরানো এবং পার্মানেন্ট পেসমেকার (পিপিএম) স্থাপন করে দ্রুত রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছে।

হৃদরোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার এনজিওগ্রাম মেশিন সচল হওয়ার দ্বিতীয় দিন ৪ রোগীর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। এছাড়া এনজিওগ্রাম হয়েছে ৬ জনের। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রথমদিন এনজিওগ্রাম করা হয় ৫ রোগীর, হার্টে রিং পরানো হয় ২ রোগীর এবং পিপিএম স্থাপন করা হয় একজন রোগীর।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ দে বলেন, এনজিওগ্রাম মেশিন সচল হওয়ায় আমরা জরুরি ইন্টারভেনশনাল কাজ করতে পারছি। হাসপাতালের ভর্তি অনেক রোগীর হার্টে জরুরি ভিত্তিতে টেম্পোরারির পেসমেকার (টিপিএম) স্থাপন করতে হয়। মাঝখানে মেশিন নষ্ট থাকার কারণে এনজিওগ্রাম করা, রিং পরানো, টিপিএম কিংবা পিপিএম স্থাপনের কাজ আমরা করতে পারিনি। এখন মেশিন সচল হওয়ায় রোগীরা এর সুফল পাচ্ছে। তবে মেশিনের সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আমাদের জানিয়েছে, যেহেতু এখন অস্থায়ী টিউব দিয়ে কাজ হচ্ছে, তাই মেশিনের ওপর যাতে অত্যাধিক চাপ না পড়ে, সেদিকে মনোযোগ দিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

জানা গেছে, ক্যাথল্যাব বা কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশনের (এনজিওগ্রাম) মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি, ভাল্ব (কপাটিকা), ধমনির পরিস্থিতি জানতে এবং হৃদযন্ত্রের রক্তের চাপ বুঝতে রোগীকে ক্যাথল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনমতো রক্তনালীতে স্টেন্ট বা রিং পরানো, পেসমেকার বসানো, সংকুচিত ভাল্বকে ফোলানোসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপাচার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d