র্যাবের অভিযানের একদিনের মাথায় ট্রাফিকের ১০ পরিদর্শককে বদলি
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মর্যাদার ১০ জনকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে র্যাবের অভিযানে সড়কের ৩০ চাঁদাবাজ গ্রেপ্তারের একদিনের মাথায় এই বদলির আদেশ এলো।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
বদলির আদেশে অনুযায়ী, কোতোয়ালীর পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) এবিএম মিজানুর রহমানকে সিএমপির টিআই (প্রশাসন-উত্তর) এবং কর্ণফুলীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শাহ মো. আরিফুর রহমানকে প্রবর্তক এলাকার টিআই পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া পতেঙ্গার টিআই সুশোভন চাকমাকে কোতোয়ালীর পিআই করা হয়েছে।
একই আদেশে টিআই (প্রশাসন-উত্তর) মো. কামাল হোসেনকে বায়েজিদের টিআই, টিআই (প্রশাসন-বন্দর) মো. আমীর ফারুককে কর্ণফুলীর টিআই, পাঁচলাইশের টিআই বশিরুল ইসলামকে বাকলিয়ার পিআই ও বাকলিয়ার পিআই মো. মাছউদুর রহমানকে পাঁচলাইশের টিআই করা হয়েছে।
এদিকে, ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমানকে টিআই (প্রশাসন-বন্দর), পাহাড়তলীর পিআই ছামিউর রহমান খানকে টিআই (প্রশাসন-পশ্চিম) ও বায়েজিদ বোস্তামীর টিআই মো. আলমগীর হোসেনকে পতেঙ্গার টিআই পদে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নগরের বিভিন্ন স্থানে টানা দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করা ৩০ জনকে আটক করেছিলো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৭)। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদাবাজরা প্রকাশ্যে সড়কে চাঁদাবাজি করলেও ট্রাফিক পুলিশের ‘যোগসাজসে’ পার পেয়ে যায়। চাঁদাবাজদের ভাগের টাকায় সড়কে ‘কাঠের পুতুল’ বনে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।