দাম না কমালে জেলে দেওয়া হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
চার পণ্যের শুল্ক প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনার পরও যদি ব্যবসায়ীরা দাম না কমান বা উল্টো আরও দাম বাড়িয়ে দেয় তা হলে যেসব ব্যবসায়ী এমনটি করবে দরকার হলে তাদের সরাসরি জেলে দেওয়া হবে বলে জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে তিনি তার কঠোর মনোভাব জানিয়েছেন। তাই কোনো ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে বা দাম বাড়ায় তা হলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সময়ের আলোকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এনবিআর আজই (গতকাল) শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ইতিমধ্যেই ট্যারিফ কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-কোন পণ্যে কী পরিমাণে শুল্ক কমে, তার আলোকে সে পণ্যের মূল্য কত হতে পারে সেগুলো ঠিক করা হবে। এরপর ব্যবসায়ীরা কোন পণ্য কি দামে আমদানি করেছে তাদের কাছ থেকেও সেসব তথ্য নেওয়া হবে। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে পণ্যগুলোর উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য কত হবে, পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে মূল কত হবে সেটি ঠিক করে দেওয়া হবে। দরকার হলে একেক ব্যবসয়ী যদি একেক দেশ থেকে একেক মূল্যে আমদানি করে থাকে তা হলে মূল্যও আলাদা আলাদা হতে পারে। ব্যবসায়ীরা যতই ধূর্ত হোক বা যতই শক্তিশালী হোক তাদের মনে রাখতে হবে-সরকারের চেয়ে কেউ শক্তিশালী নেই দেশে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগে কী হয়েছে সেটি আমি জানি না বা আমলে নিতে চাই না। তবে এবার আর আগের মতো হবে না-এটি নিশ্চিত করে বলতে পারি। কারণ কোন ব্যবসায়ী কী পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে, কোন দামে আমদানি করেছে, সেসব পণ্য এনে রেখেছেনই বা কোথায়-তার সব তথ্যই আমার কাছে আছে। তাই আমি প্রত্যেক আমদানিকারকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার আমদানিমূল্য ও শুল্ক ছাড়ের সুবিধার ভিত্তিতে মূল্য কত হবে সেটি নির্ধারণ করে দেব এবং সেই দামে তাকে পণ্য বিক্রি করতে হবে। যদি তারা এর ব্যত্যয় ঘটায় বা পণ্যমূল্য বাড়ায় তা হলে তাদের সরাসরি জেলে দিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য, গরু-খাসির মাংসের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে। রোজার আগেই আমরা এগুলো চূড়ান্ত করে ফেলব।