কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল, ভয়ংকর পরিণতি থেকে রক্ষা পেল শিশুরা
গত কয়দিনে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘাতে অবিরাম গুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ওপারে গত দুই দিন গোলাগুলির শব্দ কমায় গতকাল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়েছিল কয়টি শিশু। সেখানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল পড়ে থাকতে দেখে ওই শিশুরা সেটি কুড়িয়ে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে বিজিবি সদস্যরা খবর পেয়ে অবিস্ফোরিত ওই মর্টারশেলটি শিশুদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এ সময় উপস্থিত সবাই বলতে থাকেন, ভয়ংকর পরিণতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই শিশুরা। এটি বিস্ফোরিত হলে ওই শিশুদের ভয়াবহ পরিণতি হতে পারত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়াপাড়ায় অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি পাওয়া যায়। ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুরা প্রথমে মনে করেছিল মর্টারশেলটি লোহাজাতীয় কোনো বস্তু। তবে বিজিবি সদস্যরা খবর পেয়ে সেটি দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, গত কয়দিনে ওপারে যেভাবে গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তার প্রভাব আমাদের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। মর্টারশেল বিস্ফোরণে তুমব্রুর একটি গ্রামে দুইজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও মর্টারশেল পড়ে থাকতে পারে।
তিনি ধারণা করছেন, কয়দিন আগে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসার সময় মর্টারশেলটি ফেলে রেখে যায়। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করছি এমন আরও কোনো গোলা বা অবিস্ফোরিত মর্টারশেল থাকলে তা খুঁজে বের করতে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি বিজিবি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রেখেছে।
এর আগে গত বছর ৯ জুন মর্টারশেল নিয়ে খেলার সময় সোমালিয়ার লোয়ার শাবেলে অঞ্চলে সেটি বিস্ফোরণে ২০টি শিশু নিহত হয়। এ ছাড়া ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।