আন্তর্জাতিক

রাফাহতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় ৬০ জনের বেশি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফাহতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা চালানো হয়। আর এসব হামলায় অঞ্চলটিতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে যুদ্ধবিমানের দ্বারা তীব্র বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

রাফাহর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা তাদের বর্বর হামলায় অন্তত দুটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান ব্যবহার করে রাফহার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গুলি ছুড়েছে। অবরুদ্ধ ও ছোট্ট গাজা উপত্যকার রাফাহর সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে।
রাফাহর আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, “দখলদারদের বোমা হামলায় এত মানুষ হতাহত হয়েছেন যে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের চালানো নতুন হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর রাফাহ বাদে গাজার সব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এসব হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে চলে যান। এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীই গাজাবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছিল; তারা যেন রাফাহতে চলে যান। এছাড়া রাফাহকে নিরাপদস্থান হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। তাদের কথা শুনে ও জীবন বাঁচাতে তখন লাখ লাখ মানুষ দলে দলে গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে চলে আসেন। এখন এখানেও হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো নেতানিয়াহুকে হুশিয়ারি দিয়েছে, বেসামরিকরা রাফাহতে থাকা অবস্থায় যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো হয়। তবে তাদের তোয়াক্কা না করে সোমবার রাতে সাধারণ মানুষে গিজগিজ করা অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d