আনস্মার্ট বাসে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা
ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে স্মার্ট গণপরিবহণ ব্যবস্থা। যেখানে ভোগান্তি ছাড়াই নাগরিকরা গণপরিহন ব্যবহার করে দৈনিন্দন কার্যক্রম পরিচালিত করবেন। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীসহ আন্তঃজেলায় চলাচলকারী লক্কর ঝক্কর বা আনস্মার্ট বাস যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অন্যতম অন্তরায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গণপরিবহনের সৌন্দর্যের ওপর নগরের সৌন্দর্য এবং দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। কিন্তু খোদ রাজধানীতে চলাচল করা অধিকাংশ বাস রংচটা, লক্কর-ঝক্কর, জরাজীর্ণ, জানালার কাঁচ ভাঙা, কোনটার সামনের আবার কোনটার পিছনের লাইট ভাঙা। কোনও বাসে ফ্যান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ভাঙা বা অচল থাকতে দেখা যায়। বাস থেকে কালো ধোঁয়াও নির্গমন হয় হরহামেশা।
এসব বাসে অধিকাংশের নেই যথাযত টিকেটিং ব্যবস্থা। সরকারের চাপে মাঝেসাঝে টিকেটিং চালু হলেও কদিন পরপরই তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বাসের ড্রাইভার বা হেল্পার কারোরই যাত্রী সেবার ওপর কোনো বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ থাকে না। ফলে যাত্রাপথে সেবা দূরে থাক হয়রানির শিকারই বেশি হন এইসব বাস ব্যবহারকারীরা।
এছাড়াও ঢাকা মহানগরে চলাচলা করা অধিকাংশ বাসের ভিতরের পরিবেশ এবং সিটের কভার অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। এমন ত্রুটিযুক্ত যানবাহনে যাত্রীদের চলাচলে নানা ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ তাদের মর্যাদা নিয়ে এসব পরিবহনে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। পাশাপাশি এসব ত্রুটিযুক্ত বাস চলাচলের ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা এবং হতাহতের ঘটনা।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা-২৫ অনুযায়ী ত্রুটিমুক্ত যানবাহন চলাচলের বাধ্যবাধকতা এবং এর ব্যত্যয়ে আইনের ধারা ৭৫ অনুযায়ী কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও প্রয়োগ খুব কম হতেই দেখা যায়।
লক্কর-ঝক্কর বাস বর্তমান সরকারের অভাবনীয় উন্নয়ন এবং অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে, কোন বিদেশি যখন বাংলাদেশে এসে এসব লক্কর ঝক্কর বাস দেখে, যানজটের মুখোমুখি হয়, তখন সে বর্তমান বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রকৃত প্রতিচ্ছবি পায়না জানিয়ে সরকারকে বিষয়টি অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি বলে জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।