ধর্ম

শবে বরাতেও আল্লাহ যাদের ক্ষমা করেন না

শবে বরাতে যারা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা, দয়া, রিজিক ইত্যাদি চাইবে তাদের চাওয়া পূরণ করা হবে। শবে বরাত শব্দ দুটি হাদিসে নেই।

হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ১৫ শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ।

‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

এ রাতে মুশরিক ও হিংসুককে খাঁটি তওবা না করলে ক্ষমা করা হবে না, তাদের চাহিদাও পূরণ করা হবে না।

ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, দুই প্রকার মানুষ ছাড়া আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করে দেন। একটা হলো মুশরিক, যার জীবনে শিরক রয়েছে। অন্যটা হলো মুশাহিন, মানে হিংসুক।

বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫)

কারো ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনাকে বলা হয় হাসাদ বা হিংসা, যা জায়েজ নয়। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ কোরো না। হিংসা কোরো না। ষড়যন্ত্র কোরো না। সম্পর্ক ছিন্ন কোরো না। তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে যাও। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৭৬)

তবে কারো ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনা না করে নিজেও তা অর্জনের চেষ্টা করাকে বলা হয় গিবত বা ঈর্ষা, যার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ইবলিস শয়তান হিংসা ও অহংকারের কারণে আদমকে (আ.) সেজদা না করে বিতাড়িত হয়েছে। আদমপুত্র হাবিলের কোরবানি কবুল হওয়ায়, হিংসাবশত কাবিল তাকে খুন করে প্রথম অন্যায় খুনকারী হয়েছে।

ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা হিংসা করে তাকে কূপে ফেলে নিন্দার পাত্র হয়েছে।
এ ছাড়া অসংখ্য-অগণিত মানুষ হিংসার রোগে আক্রান্ত হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়েছে-জড়াচ্ছে। মুনাফিকের স্বভাব হিংসা করা। হিংসার কারণে তারা ইমানদারদের উন্নতিতে নাখোশ হয়।

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের (ইমানদারদের) কোনো কল্যাণ হলে তারা অসন্তুষ্ট হয়।
আর তোমাদের কোনো অকল্যাণ হলে তারা আনন্দিত হয়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১২০)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d