সীমান্ত হত্যা ও অস্ত্র-মাদক চোরাচালান বন্ধে আলোচনা
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪ তম সীমান্ত সম্মেলন মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন; আন্তর্জাতিক সীমান্তের দেড়শ’ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড; সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ; দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগরওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
তিনি জানান, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিএসএফ মহাপরিচালকের পত্নী এবং বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী শ্রীমতি স্মিতা আগরওয়াল তাঁদের সংগঠনের প্রতিনিধিসহ এ দেশে এসেছেন। তিনি বিজিবি মহাপরিচালকের পত্নী এবং সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির (সীপকস) প্রধান পৃষ্ঠপোষক নওরীন আশরাফের সঙ্গে মতবিনিময়সহ সীপকস, সীমান্ত অফিসার্স লেডিস ক্লাব ও চিলড্রেন ক্লাব আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
আগামী ৯ মার্চ সকাল ৯টায় সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সেদিনই ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবে।