সম্পর্কে যে বিষয়গুলো মেনে নেবেন না
সম্পর্কে দু’জন মানুষের নানা মত, অমত থাকে। থাকে পরস্পরের প্রতি অসংখ্য প্রত্যাশাও। একটি সুন্দর সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার জন্য দু’জনেরই চমৎকার আচরণ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে প্রয়োজন বোঝাপড়া, সম্মান আর বিশ্বাসও। পরস্পরের প্রতি সমান টান থাকলেই কেবল সেই সম্পর্ক গতিশীল থাকে। কিন্তু কিছু বিষয় থাকে যেগুলো ছাড় দিয়ে চললে একটা সময় সম্পর্কটাই পড়ে হুমকির মুখে। তাই সম্পর্ক ভালো রাখার জন্যই কিছু বিষয় মেনে না নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন- মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন এমন একটি অন্যায় যা একবার ঘটার সুযোগ দিলে বারবার ঘটতে থাকে। আপনি যদি শুরুতেই প্রতিবাদ না করেন তবে নিশ্চিত থাকুন এর পুনরাবৃত্তি হবেই। আপনার সঙ্গী যদি সারাক্ষণ আপনাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করতে থাকে এবং যদি কখনো শারীরিক নির্যাতন করে থাকে তবে এখনই সময় তার প্রতিবাদ করার।
২. অসম্মান- অসম্মানজনক আচরণ মেনে নেবেন না। আপনাকে সবার সামনে হেয় করতে থাকলে তা আপনার আত্মসম্মান নষ্ট করে দেবে। যদি আপনার সঙ্গী আপনার আবেগের মূল্যায়ন না করে এবং আপনার উদ্বেগকে উপেক্ষা করে, তবে বুঝে নেবেন আপনাদের সম্পর্কের ভেতরে সম্মানের অভাব।
৩. প্রতারণা- অসৎ এবং গোপন আচরণ প্রতারণার লক্ষণ প্রকাশ করে। একজন প্রতারক সঙ্গী সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বস্ত। বিশ্বাসঘাতকতার কাজ সম্পর্কের সৌন্দর্য নষ্ট করে। একজন প্রতারক কখনো সঙ্গী হিসেবে উত্তম হতে পারে না। মনে রাখবেন, প্রেম ও প্রতারণা পাশাপাশি চলতে পারে না।
৪. প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্নতা- যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ব্যাপারে অনিরাপদ হয়ে ওঠে, তাহলে এটিকে যত্ন এবং অধিকার হিসাবে ব্যাখ্যা করবেন না। আপনার সম্পর্কগুলোকে ম্যানিপুলেট করার এবং আপনার আশেপাশে কাউকে থাকতে না দেওয়ার জন্যই সে এমনটা করে।
৫. বিশ্বাসঘাতকতা- বিশ্বাসঘাতকতা একটি সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ধরণের কিছু ঘটলে সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা উচিত। তাই সঙ্গী বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। কখনো সন্দেহের বশে সিদ্ধান্ত নেবেন না। এরকম কিছু ঘটলে প্রথমে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।