রামু কলেজের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রামু সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোছাইনকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং দ্রুত অপসারণ করে ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে কলেজের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এ কর্মসুচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘যৌন নির্যাতনকারী হোছাইনের শাস্তি চাই’, ‘অধ্যক্ষের মদদপুষ্ট শিক্ষক হোছাইনের অপসারণ চাই’, ‘যৌন নির্যাতনমুক্ত নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন চাই’, ‘দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই’, ‘কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও তার মদদপুষ্ট হোছাইনের শাস্তি চাই’সহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে ছাত্রছাত্রীরা কলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নানা অনিয়ম-দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত করে অধ্যক্ষসহ জড়িতদের শাস্তির দাবিও তোলেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ৭ই মার্চের অনুষ্ঠান ফেলে রামু সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইন দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রী তার সহপাঠী ও অভিভাবকদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে সহপাঠীরা হোছাইনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে কক্সবাজার আদালতপাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে এডভোকেট রেজাউল করিম কাজলের চেম্বারে ৩০০ টাকা নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা (অঙ্গীকারনামা) দিয়ে মুক্তি পান হোছাইন।
অঙ্গীকারনামায় হোছাইন নিজের অপরাধ স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে কোনো ছাত্রী বা অন্য কোনো মেয়ের সাথে কোনো প্রকার অনৈতিক আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে রোববার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক ছাত্রছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং শাস্তির দাবি জানান।