‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
গর্ভাবস্থায় বাঁশখালীর গুনাগরী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ডা. রুমি দাশের কাছে চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতেন শওকত আরা। ৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে ওই নারীর অস্ত্রোপচার হয় চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশে শিশু জেনারেল হাসপাতালে। এ সময় তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু পরে প্রস্রাব বন্ধ ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অবস্থায় তাকে মেহেদিবাগের ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। তারা বলছেন— ডা. রুমি দাশের ভুল চিকিৎসায় শওকত আরা বলি হলেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮ টায় মারা যান শওকত আরা। এরপর শুক্রবার রাতে শওকত আরা বেগমের ছোট বোনের স্বামী এস.এম অলি উল্লাহ ফেসবুকে লিখেন,‘বাঁশখালীতে ডা. রুমি দাশের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার আপুর মৃত্যু হয়, ওনি সার্জন না হয়েও গণহারে সিজার করে, সবাই ওনার থেকে সাবধান থাকবেন।’ এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়।
জানা যায়, বাঁশখালীর সাধনপুর সওদাগরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী শওকত আরা গর্ভাবস্থায় বাঁশখালীর গুনাগরী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ডা. রুমি দাশের কাছে নিয়মিত চিকিৎসা নেন। শেষ দিকে ডা. রুমি দাশ তাকে অস্ত্রোপচার করা লাগবে বলে ৩০ হাজার টাকায় চুক্তি করে নগরের পাঁচলাইশে শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। সেখানে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় ডা. রুমি অস্ত্রোপচার করতে শওকত আরাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন শওকত আরা। বিকাল ৩ টার দিকে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপরই তাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮ টায় তার মৃত্যু হয়।
শওকত আরার ছোট বোনের স্বামী এস এম অলি উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্তান জন্ম নেওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও আমার আপা শওকত আরাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছিল না। পরে বিকাল ৩টার দিকে প্রস্রাব আটকে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। যার ফলে পরবর্তীতে আমরা তাকে ম্যাক্স হসপিটালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আপুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।’
এ বিষয়ে কথা বলতে চিকিৎসক রুমি দাশের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।