দেশজুড়ে

এমন শিলাবৃষ্টি আগে দেখেনি সিলেটবাসী!

সিলেটে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরের অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) রাত ১০ টা ২০ মিনিট থেকে প্রথমে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। তীব্র বাতাসের মধ্যেই শুরু তুমুল বৃষ্টি। এর কিছুক্ষন পরই শুরু হয় তীব্র শিলা বৃষ্টি। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রচণ্ড শব্দে মনে হয়েছিল ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এ রকম বড় শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখেননি।

স্থানীয়রা জানান, শিলার ওজন ছিল প্রায় আধা কেজি। বৃষ্টির সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়। এ সময় বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে।

ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত প্রচণ্ড গরম। চৈত্র–বৈশাখ মাসে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d