তিন দফা আবেদনেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার
মুক্তিযুদ্ধে দুই নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোষতলার আব্দুল মান্নান। তিন দফা আবেদন করেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সুপারিশও মানেনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
আগে কাজ করতেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির রান্নাঘরে, ১৫ আগস্ট সেখান থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে গিয়ে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিনের সাথে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোষতলার আব্দুল মান্নান। অনেক ক্ষোভ আর বঞ্চনা নিয়ে পার করছেন জীবনের সময়টা। তার অভিযোগ টাকা খরচ করতে পারেননি বলে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটাও পাননি। যারা কখনও ভারতের সীমানার পিলারের কাছেও যাননি, তারাও হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপজেলায় যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশও পেয়েছেন আব্দুল মান্নান। কিন্তু গেজেট হয়নি। আপিল করেছেন, সহযোদ্ধারা এসে সাক্ষ্যও দিয়েছেন, তারপরও স্বীকৃতি মেলেনি।
যুদ্ধের আগে বলাকা সিনেমা হলের নির্মাণকাজ করছিলেন। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধু তাকে নিয়ে যান ৩২ নম্বরের বাড়িতে। যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। ২৬ মার্চের পর বাড়ি ফিরে যোগ দেন ট্রেনিংয়ে। রান্নার কাজ জানা থাকায় ট্রেনিং শেষে দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন বাবুর্চির কাজে। ফাকে ফাকে যান সম্মুখ সমরে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে বাবুর্চি হিসেবে যোগ দেন সৈয়দপুরে দুই নম্বর ব্যাটালিয়নে।
১৯৭৫’ র ১৫ই আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর চলে যান চট্টগ্রামে। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে যোগ দেন প্রতিবাদে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা অনিয়মে ক্ষোভ আর হতাশায় মাঝে নতুন করে যুদ্ধের কথাও ভাবেন আব্দুল মান্নান।