চট্টগ্রামে জুমাতুল বিদায় মুসল্লিদের ঢল, বিশেষ মোনাজাত
রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন মসজিদে মূল ভবন ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এতে নিজেদের পাশাপাশি দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করা হয়। মুসল্লিরা নিজেদের পার্থিব নানা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সৃষ্টিকর্তার নিকট দু’হাত তুলে মোনাজাত করেন।
আরবি ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের শেষ জুমা আজ (৫ এপ্রিল)। সারা বিশ্বে এদিন জুম্মাতুন বিদা পালন করা হয়।
পবিত্র এদিন যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আগে থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। জুমার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ শুরু করেন। বাবার হাত ধরে শিশু-কিশোররা মসজিদে উপস্থিত হয়।
এদিন মসজিদে মসজিদে খতিবরা জুমার আগে বিশেষ বয়ান করেন। একই সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনের প্রস্তুতি সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর মসজিদের ইমাম খুতবা প্রদান করেন। নামাজ শেষে প্রায় প্রতিটি মসজিদে মোনাজাত করা হয়। এসময় আবেগঘন পরিবেশে মুসল্লিরা নিজেদের সৃষ্টিকর্তার নিকট সঁপে দেন।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাফেজ মাওলানা এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে তিরমিজি শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল(সা.) বলেছেন, সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো হয় তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল। আর এ দিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলমান নামাজরত অবস্থায় দোয়া করলে অবশ্যই তার দোয়া কবুল করা হয়।
এনামুল হক বলেন, রমজানে যেকোনো ভালো কাজে সাতশ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। জুমা বারের গুরুত্ব সম্পর্কে একাধিক হাদিস এবং কোরআনে আয়াত রয়েছে। সে হিসেবে জুমা বার এবং রমজান মিলে জুম্মাতুলবিদার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজানের শেষ জুমা মুসলমানদের জন্য খুবই আবেগের দিন। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ইবাদতের মাসকে বিদায় দিতে গিয়ে মুমিন রোজাদারদের মনে বেদনা সৃষ্টি হয়। মুমিন মুসলমান গুরুত্ব সহকারে ইবাদতে শামিল হয়।