পার্বত্য চট্টগ্রাম

সক্ষমতা জানান দিতেই কেএনএফের হামলা

বান্দরবানের রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সুস্থভাবে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ব্যাংক লুটের অর্থ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় র‌্যাব পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা সম্ভব হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে র‌্যাব আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বান্দরবানের রুমা–থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও হামলার ঘটনাটি মূলত কেএনএফের সক্ষমতা জানান দিতেই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বহির্বিশ্বে তাদের সহযোগীদেরকে সংগঠনটির সক্ষমতা জানান দিতেই বান্দরবানের রুমা–থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও হামলার ঘটনাটি কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। সিসি ফুটেজ দেখে এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও কুকি–চিনের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গি সদস্যদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।

ব্যাংক ম্যানেজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুমা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলা উদ্ধার করা না গেলেও র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সকলের প্রচেষ্টায় কোনোরূপ ঝুঁকি না নিয়ে তাদের কয়েকটি কৌশলের একটি ব্যবহার করে অপহরণের শিকার রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গোপনীয়তার কারণে কোন কৌশল অবলম্বন এবং রুমার কোন স্থান থেকে ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ সময় র‌্যাবের কর্মকর্তা লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেনসহ র‌্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d