খেলা

২২ গজ মাঠ থেকে নির্বাচনের মাঠে ইউসুফ পাঠান

পূর্ব ঘোষণা ছাড়া রাজনীতির মঠে আসতে হরহামেশাই দেখা যায় অভিনেত্রী এবং খেলোয়াড়দের। আসন্ন ভারতের নির্বাচনে একঝাঁক নতুন মুখের দেখা মিলেছে। যার মধ্য ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান অন্যতম । তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বহরমপুরে এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

জানা গেছে, ইউসুফ পাঠানকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে কংগ্রেসের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এটাই মাস্টারস্ট্রোক হিসাবে দেখছেন অনেকে।এদিকে বহরমপুর থেকে টানা পাঁচবারের জয়ী সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ভালই হল তো। আমিও বিখ্যাত হয়ে যাব।’‌, ‘হাতি মরলেও লাখ টাকা, বাচলেও লাখ টাকা,’ অর্থাৎ অধীর চৌধুরী হারলে বা জিতলে দুটি ক্ষেত্রেই তিনি বিখ্যাত হবেন। কারণ ইউসুফ পাঠান তারকা ক্রিকেটার। ভারতের নাম উজ্জ্বল করা ক্রিকেটার। গোটা বিশ্ব তাঁকে এক নামে চেনে। তাই তাঁর কাছে হারলেও বিখ্যাত হওয়া যাবেন। জিতলে তো অবশ্যই বিখ্যাত হবেন। পরিসংখ্যান বলছে গতবারের নির্বাচনে অধীর চৌধুরী প্রায় ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন।

হঠাৎ করে কিভাবে নির্বাচনে মাঠে ইউসুফ পাঠান?

নির্বাচন কে সামনে রেখে ব্রিগেডেই প্রথমবার কথা হয় মমতা–অভিষেকের। তবে বাংলায় প্রার্থী হওয়ার নেপথ্যে অন্য কাহিনী আছে। সূত্রের খবর, বাংলার আর এক জনপ্রিয় ক্রিকেটারের স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাড়িতে রাজনীতি প্রবেশ করুক চাননি তিনি। তখন ইউসুফ পাঠানের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। ওই ক্রিকেটার সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তার পরই তৈরি হয় ব্লু–প্রিন্ট। ইউসুফের কাছে প্রস্তাব পৌঁছতেই রাজি হন তিনি। এখন বহরমপুরের প্রার্থী।

খেলার মাঠে ২০০৭ সালে অভিষেক হয় হার্ড হিটার ব্যাটস ম্যানের এবং এক টানা ৫ বছর দলকে সার্ভিস দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের সেরা অর্জনের মধ্যে আছে টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ এবং ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন। তবে এতো রেকর্ডের ভিড়েও রাজনীতির মাঠে নবজাতক শিশু তিনি। এখন দেখার পালা ২২ গজের মাঠের মতো রাজনীতির মাঠ রাঙ্গিয়ে দিতে পারেন কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d