কক্সবাজার

কক্সবাজারে ৫ লক্ষাধিক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় জমাবে ৫ লক্ষাধিক পর্যটক। যা নিয়ে ইতোমধ্যে হোটেল মোটেল জোনে ৫০% রুম বুকড হয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের একাধিক হোটেলের তথ্য মতে ৪০-৫০% রুম বুকিং দিয়েছে ভ্রমণ পর্যটকরা।

রমজানের নিবিড়তায় পর্যটকশূন্য থাকা সৈকত এখন নতুন রূপে সাজছে। পাঁচ শ’টিরও বেশি হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও সাত শ’টিরও বেশি রেস্তোরাঁ ঈদের আয়োজনে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোতে আশানুরূপ রুম বুকিং হয়ে গেছে, যা ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, এই দুই উৎসব একসাথে হওয়ায় এবার কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটতে পারে। যা ৪-৫ লাখ ছাড়াতে পারে। ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজের প্রায় ৫০% বুকিং হয়ে গেছে। যা ঈদের আনন্দকে আরও তীব্র করে তুলেছে। পাশাপাশি পর্যটকদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

হোটেল সী ক্রাউনের জিএম এবিএম ইকবাল জানান, ঈদ পরবর্তী তিনদিনেই ৬০-৭০% বুকিং রয়েছে। তবে চতুর্থ দিন থেকে ১৫-২০% বুকিং হয়েছে মাত্র। আশা করা যায় আমাদের হোটেলটি বিচ সংলগ্ন হওয়ায় রুম বুকিং আশানুরূপ বাড়তে পারে।

তবে এ নিয়ে কক্সবাজার হোটেল মোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, হোটেল মোটেল জোনে ৪০-৫০% রুম বুকিং হয়েছে। যারা ৮০% বলতেছে তা সত্য নয়। যদি এই গরমের মৌসুমে অতিরিক্ত রুম ভাড়া বাড়ায় তাহলে আশানুরূপ পর্যটক পেতে আগামীতে হিমসিম খেতে হবে। লাভের চেয়ে ক্ষতিতে আমাদের দিন পার করতে হবে ব্যবসায়ীদের।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি রেজা কিবরিয়া বলেন, ৮০% রুম বুকিং বিষয়টি একদমই সত্য নয়। এখন পযর্ন্ত ৪০-৫০% রুম বুকিং হয়েছে। সঠিক তথ্য প্রচার না করে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করলে পর্যটন শিল্পের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আশা করা যাচ্ছে এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখে ৪-৫ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ জানান, এবারের ঈদে যদি হোটেল মোটেল মালিকেরা পর্যটকদের কাছ থেকে নিয়মের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নিরাপদ ভ্রমণের জন্যে দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র সৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d