দেশজুড়ে

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করা সরকারের ব্যর্থতা

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করাকে সরকারের ব্যর্থতা বলছে ১৪ দল শরিকেরা। এ প্রশ্নে ক্ষমতাসীনদের দ্বিধার সমালোচনা করছেন তারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, জোটের সভায় কখনই এ নিয়ে ততটা সোচ্চার নয় শরিকেরা।

সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গঠনতন্ত্র হওয়ায় ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনকে অবৈধ বলে বাতিল করেন হাইকোর্ট। এর ৫ বছর পর ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তাদের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেয় নির্বাচন কমিশন।

তবে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের দুটি আপিল ১০ বছর বিচারাধীন। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের স্বদিচ্ছা দেখছে না ১৪ দল শরিক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আইনি জটিলতা আছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের অপেক্ষা ছাড়া অন্যকিছু করার সুযোগ নেই।’

এদিকে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সবকিছু কোর্টের ওপর ছেড়ে দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। রাজনীতিবীদ আমরা, আমরা সরকার চালাব, তা সবকিছু কোর্ট দিয়ে নিষ্পত্তি করব– এইটা তো ঠিক না।’

হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি, আমি মনে করি সরকারের সেটা একটা ব্যর্থতা।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ ক্ষেত্রে একটা ব্যালেন্সিং গেম খেলার চেষ্টা করে। জামায়াত চাপের মধ্যে থাকুক, কিন্তু পরিপূর্ণভাবে না থাকুক এই ধরনের একটা জায়গায় তারা (আওয়ামী লীগ) যায়।’

১৪ দলের শরিকদের বক্তব্য নিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কথা, কোনো আলোচনা ১৪ দলের ফোরামে কিন্তু হয়নি।’

এ বিষয়ে রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘একবার নয়, এ নিয়ে বহুবার কথা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d