চট্টগ্রাম

বিদ্যুতের তার ছেঁড়া, অভিযোগ জানাতে ১২৩ বার ফোন!

ফটিকছড়ি পৌরসভায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাবা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাশেম ডাক্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাবা খাতুন ওই এলাকার মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকাল থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়রা কাসেম ডাক্তারের বাড়ির পেছনের বিলের মধ্যে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। বিকেলে ছাবা খাতুন গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ওই ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

স্থানীয় সরোয়ার বলেন, তার ছিড়ে পড়ে আছে এ বিষয়ে আমি চট্টগ্রাম পল্লী বিদুৎ সমিতি–২ ফটিকছড়ি জোনাল অফিসে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপরেও তারা তারটি ঠিক করেনি। তাদের গাফিলতির জন্য আজ একটি জীবন শেষ। এর ক্ষতিপূরণ তাদের দিতেই হবে।

আরেক স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, আমি অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগটি দিয়েছি। তারা অভিযোগটি গ্রহণ করে আমার ফোনে ম্যাসেজও দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) তারা এখনো কেউ আসেনি এখানে কী হয়েছে দেখতে।

মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, আমি বিদ্যুৎ অফিসে ১২৩ বার ফোন দিয়েছি। তারা একবারও ফোন ধরেনি। আমার চাচি গরুর ঘাস কাটতে গিয়েছিল। সেখানে বিদ্যুতের ছেঁড়া তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান। মুখ ছাড়া শরীরের বেশিরভাগ অংশ তার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ মৃত্যুর দায়ভার তাদের নিতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

নিহত ছাবা খাতুনের স্বামী মোহাম্মদ কালু বলেন, আমরা স্বামী–স্ত্রীর অনেক কষ্টের সংসার। বিদ্যুতের গাফিলতির জন্য আজ আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি। এর দায়ভার বিদ্যুৎ অফিসকে নিতে হবে।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের এজিএম মো. আজহারুল হক বলেন, আমি অফিসে সবাইকে জিজ্ঞেস করে দেখেছি, তার ছিঁড়ে গেছে ধরনের কোনো অভিযোগ তারা পায়নি। মুঠোফোনে কল না ধরার ব্যাপারে তিনি বলেন, হয়তো ব্যস্ত ছিল তাই কল ধরেনি, সরাসরি কেউ এসে অভিযোগটা দিতে পারতো। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেটা সিদ্ধান্ত দেয় তাই হবে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ছরওয়ার জাহানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d