থানায় গিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাল কিশোরী
থানায় গিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল এক স্কুলছাত্রী। নাম টুকটুকি (ছন্দনাম)। সে স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা প্রবাসী। মা-ই মেয়ের বিয়ে ঠিক করে। খবর শুনে মামার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে মামাকে সঙ্গে নিয়ে থানার বড় কর্মকর্তার (ওসি) কাছে হাজির। খুলে বলেন নিজের বাল্যবিয়ের কথা। সব শুনে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন ওসি। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় ঘটে এ ঘটনাটি।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামার সঙ্গে থানায় হাজির হয় ওই কিশোরী।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ের কথা পাকাপোক্ত করার কথা ছিলো তার মায়ের।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মামাকে নিয়ে ওই কিশোরী আমার কাছে এসে বিয়ে বন্ধের আকুতি জানান। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের বাবা ও মায়ের সাথে কথা বলে বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দিবেন না এবং বাবার জিম্মায় মেয়েটিকে মামার সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া যেসব কাজী ও ঘটক বাল্যবিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তাদেরকে নিয়মিত মামলা দিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।’
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমি প্রবাসে থাকি। মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তার মা কেন বিয়ে দিতে চাইছে বুঝতে পারছি না। মেয়ে বিয়ের কথা শুনে নানার বাড়ি চলে আসে। সেখান থেকে থানায়। আমিও থানায় গিয়েছিলাম। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওসি সাহেবের পরামর্শে মেয়েকে মামার সঙ্গে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।’