চট্টগ্রামরাঙ্গুনিয়া

পাহাড়ের ফাঁকে দুর্বিষহ জীবন

কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর মোহাম্মদপুর এলাকায় ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ের ফলে এলাকার রশিদ আহমদ সড়ক ও এম সেলিম সড়কের অবস্থা বেহাল। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। একই সঙ্গে পাহাড়ের কোলঘেঁষে বসবাসকারীদের দিন কাটে আতঙ্কে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ রাজানগর ৪নং ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর ও গলাচিলা এলকায় পাহাড়ি বেশ কিছু বসতঘর ভেঙে পড়েছে। কয়েকটি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়েছে। ধসে পড়েছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ও। অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা ও কৃষিজমির মাটি কাটার ফলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে ইটভাটার গাছ ও মাটি বহনে ব্যবহৃত ড্রাম ট্রাক চলাচল করে। ফলে সড়কটি অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এটির উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় ভোগান্তি পোহাতে হয় কয়েকশ পরিবারের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এবার কালবৈশাখীতে প্রায় ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড় ধসে কাদামাটিতে চলাচলের দুটি সড়কের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক কাদাযুক্ত। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছি, তবে কোনো সুরহা মেলেনি। অপরিকল্পিত পাহাড় কাটায় পাহাড় ধস হচ্ছে।

দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার বলেন, পাহাড়খেকোরা রাতের আঁধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পাহাড় ধস হয়। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের জেল-জরিমানা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d