‘ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি’
বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন গোলাম রসুল নিশান।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিশানের সঙ্গে ‘বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত’ আলী রেজা রানার দীর্ঘদিনের বিরোধের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
নিশান বলেন, আলী রেজা রানা নিজেকে বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করলেও মহানগরের এক বিএনপির নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তাঁর সঙ্গে ছবিও আছে। দীর্ঘদিন ধরে রানা ইস্পাহানি স্কুল এবং আশপাশে বিভিন্ন স্কুলের কিশোরদের নিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন ফিরোজশাহ সমাজকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে হয়। আমরা কোনো ঘটনা সামাজিকভাবে সমাধান করতে না পারলে এলাকার কাউন্সিলরের কাছে কিংবা থানায় আইনগতভাবে সমাধানের উপদেশ দিয়ে থাকি। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই পরিবেশ শান্ত করার জন্য আমি ওই অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে সেদিন রাতেই গ্রিন টাওয়ারের সামনে বৈঠকের কথা বলে নিয়ে যায়।
বাদী আলী রেজা রানা ও তার কিশোর গ্যাং এলাকায় বিএনপি নেতা ফজলুল করিম টিপুর পরামর্শে পরিচালিত। দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর আহত হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ খেয়াল করলে দেখা যাবে, পুলিশিং কমিটির সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন শাহীনের ২ ছেলে সানীম এবং তানিমের উপস্থিতি রয়েছে। ঘটনার সময় আমি সপরিবারে ইফতারের দাওয়াতে হালিশহর অবস্থান করছিলাম। এজাহারভুক্ত ১২ জন আসামির ১১ জন অনুপস্থিত এবং ৩ নম্বর আসামি সোহেলকে কোরবান আলী, মামলার বাদী আলী রেজা রানা ও তার বন্ধুরা মিলে বেধড়ক মারধর করছিল।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে দন্তচিকিৎসক কোরবান আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিবৃতি দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এতে তারা বলেন, ঘটনাস্থলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ছিলেন না, তবু হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র করে তাকে জড়ানো হচ্ছে।