কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের মেয়াদ বাড়ল ১০ জুন পর্যন্ত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সাময়িকভাবে চলা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের মেয়াদ আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রেলওয়ে মহাপরিচালক কার্যালয়ের ট্রাফিক-ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। নতুন আদেশে এই ট্রেনের বগিও ৫টি বাড়িয়ে ১০টির পরিবর্তে ১৫টি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত করার পাশাপাশি এর বগি ও ট্রিপ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কার্যালয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক বরাবর দেওয়া ওই প্রস্তাবে স্পেশাল ট্রেনটিতে ১০টির পরিবর্তে ১৮টি বগি সংযোজন এবং দিনে দুইবারের পরিবর্তে চারবার যাতায়াতের অনুমোদন চাওয়া হয়।
বিদ্যমান লজিস্টিকস এবং জনবল ব্যবহার করেই কক্সবাজার স্পেশালকে নিয়মিত ট্রেনে রূপান্তর, ট্রিপ-বগি বাড়ানো সম্ভব বলে মত দিয়ে আসছেন রেলওয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেই মতকে উপেক্ষা করে কেবল স্পেশাল ট্রেনের মেয়াদ ও বগি বাড়ানোর অনুমোদনই দিল। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর জন্য এই অঞ্চলের মানুষের যে অপেক্ষা- সেটি আরও বাড়ল।
সংশ্লিষ্টরা জানান- দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন গত নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর প্রথম এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত পাঁচ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এর বড় কারণ হচ্ছে- বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ফলে এই রুটে স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন অনেকটা ‘সোনার হরিণ’ পাওয়ার সমান।
এমন বাস্তবতায় ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয় এই ট্রেনের মেয়াদ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের স্পেশাল ট্রেনে এখন সিট রয়েছে ৪৩৮টি। ২১ মে থেকে বগি বাড়ায় বাড়বে সিটের সংখ্যাও। মোট সিট থাকবে ৭০৫টি। তবে আগের মতোই চট্টগ্রামের ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে যাত্রা বিরতি দেবে কক্সবাজার স্পেশাল।