খেলা

রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে হায়দরাবাদ

১৭৬ রান, এবারের আইপিএলে এই লক্ষ্যটাকে বড় বলার সুযোগ নেই। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এই রানই যথেষ্ট হলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের ধীরগতির উইকেট কাজে লাগিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ।

এই জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে প্যাট কামিন্সের দল। গত মৌসুমে এই হায়দরাবাদই ছিল পয়েন্ট তালিকার তলানিতে।

আগামী ২৬ জুন ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলবে হায়দরাবাদ। এই দুই দলই গ্রুপ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল।

১৭৬ রানের জবাবে পাওয়ার প্লেতে ভালোই শুরু করে রাজস্থান রয়্যালস। ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ৫১ রান। তবে ২১ বলে ৪২ রান করে যশস্বী জয়সোয়াল ফিরে গেলে রানের চাকা থেমে যায় রাজস্থানের। ১ উইকেট ৬৫ রান থেকে ৯২ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় দলটি।

এরপর ধ্রুব জুরেল চেষ্টা করলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। জুরেল করেছিলেন অপারিজত ৫৬ রান। বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হায়দরাবাদের দুই স্পিনার—শাহবাজ আহমদে ও অভিষেক শর্মা। এত দিন ব্যাট হেড ঝড় তোলা অভিষেক আজ ৪ ওভারে ২৩ রান নিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। শাহবাজ ২৩ রানে নিয়েছেন ৩টি।

আগে ব্যাটিং করা হায়দরাবাদের ওপেনার অভিষেক আজও ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও তা স্থায়ী হয়নি। ৫ বলে ১২ রান করে আউট হন এই ওপেনার। অপর প্রান্তে থাকা ট্রাভিস হেড নন, হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুত রান তোলার কাজটা করেন তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী। ১৫ বলে ৩৭ রান করে ফিরে গেলেও পাওয়ার প্লেতে হায়দরাবাদের ভালো শুরু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর এইডেন মার্করাম আউট হন ১ রান করে। এই তিন ব্যাটসম্যানকেই ফেরান বোল্ট। হেড আজ করেছেন ২৮ বলে ৩৪ রান।

প্রথম ১০.২ বলে ১০০ রান তোলা হায়দরাবাদ শেষ ৯.৪ ওভারে রান তুলেছে ৭৫। সেটা ক্রিজে হাইনরিখ ক্লাসেন থাকার পরও। দলের চাহিদা মিটিয়ে ৩৪ বলে ৫০ রান করেছেন ক্লাসেন। সন্দীপ শর্মা ও আবেশ খান দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। দুজন ৮ ওভারে রান দিয়েছেন ৫২, উইকেট নিয়েছেন ৫টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d